শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে (ক্রয় মূল্য) বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করে অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি অন্য কোম্পানির শেয়ার ধারণের বিষয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা (এক্সপোজার লিমিট) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রয় মূল্যকেই ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
শেয়ারের ধারণের মূল্য নির্ধারণ করা হয় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে। ব্যাংক তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে থেকে শেয়ার কিনলেও তার দাম বেড়ে গেলে বাজারমূল্যের ভিত্তিকে বিনিয়োগ গণনার কারণে বিনিয়োগসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। ফলে দাম বাড়লেই ব্যাংকগুলো তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে দরপতন হয়।
এ কারণে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু এ দাবিতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার যোগদানের পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন। গত ১৮ জুলাই বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
চিঠির প্রেক্ষিতে সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণে ক্রয় মূল্যকে বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।