জানা যায়, ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই সড়ক ব্যবহার বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস এই সড়ক ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, জামালপুর ও শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে থাকে।
অপরদিকে প্রতিদিন কয়েকশ সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনগুলো টাঙ্গাইল-আরিচা-পাটুরিয়া এলাকায় চলাচল করছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেইলি সেতুর অবস্থা নাজুক হওয়ায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। সেতুটিতে স্টিলের পাটাতন ক্ষয়ে গেছে। ফলে মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন প্রায়ই চাকা পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ভারী যানবাহন উঠলে রীতিমতো কেঁপে ওঠে পুরো সেতু। এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ হলেও তা উপেক্ষা করে প্রতিদিন কয়েকশ ভারী যান চলাচল করছে। এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় কয়কদিন পড়ই এই বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই মুহূর্তে ব্রিজটি ভালো করে সংস্কার না করলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষ উপায় না পেয়ে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। এই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে মেরামতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। সাময়িকভাবে মানুষ চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।