বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু জাতির পিতা নন, শিক্ষকও বটে। আমরা তার জীবন থেকে শিক্ষা, রাজনীতি, দেশপ্রেম, নেতৃত্ব গুণাবলি এসব বিষয়ে শিখতে পারি। এমনকি সৌজন্য শিক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমরা বিশ্বে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে পারি বঙ্গবন্ধুর অবদানে। তিনি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৪৮ সালেই। যখন তিনি তরুণ ছাত্র নেতা। তিনি আমাদের শুধু জাতির পিতা নন, শিক্ষকও বটে। আমরা তার ৫৫ বছরের জীবন থেকে শিক্ষা, রাজনীতি, দেশপ্রেম, নেতৃত্ব গুণাবলি এসব বিষয়ে শিখতে পারি। এমনকি সৌজন্য শিক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও পুত্র সেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পুরস্কৃত করে মহান জাতীয় সংসদে শপথ করিয়েছেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়া ও তার পরিবার জড়িত।
বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমির চেয়ারম্যান সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেই ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়েও করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমরা সেটা দেখেছি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।