মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: আইনমন্ত্রী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ৩০, ২০২২ ৩:০৮ অপরাহ্ণ

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার জীবনটাই ছিল দেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময় চরম শত্রু মনে করতো। এজন্যই তাকে বারবার কারাগারে পাঠাতো।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেডে হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সবাইকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব।

আনিসুল হক বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়ার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন না হলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এ মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। দেশকে ধ্বংস করার সব ধরনের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেছে তারা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে এরা— যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এ ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

সর্বশেষ - আইন-আদালত