বুধবার , ৩১ আগস্ট ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সংকটাপন্ন রোগী কি সেজেগুজে হাসপাতালে যায়, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ৩১, ২০২২ ৩:০৩ অপরাহ্ণ

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরও যখন দরজা খোলেননি এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার?’

‘শুধু তা-ই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন আপনার সাথে আমরা আলাপ করি।

তখন বিএনপি নেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন, সেটি কোন ধরনের শিষ্টাচার’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বললেন উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে―এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার? শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, বেগম খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে। ’হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাত না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই, এর পরও যারা উপহাস করে, তারা কি ক্ষমতা থাকলে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা দেখাত!’

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কয়েক দিন পর পর বিএনপি নেতারা বলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো বলার পর দেখা যায়, বেগম জিয়া ভালো হয়ে ফেরত যান। বেশি কথা বলতে চাই না, আমাকে আমার নেত্রী শিষ্টাচার শিখিয়েছেন, আমার পরিবারও শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু কারো জীবন যখন সংকটাপন্ন হয়, তখন কি কেউ সেজেগুজে হাসপাতালে যায়! এটির জবাব মির্জা ফখরুল সাহেব নিশ্চয় দেবেন। ’

১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দুটি একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক জিয়া। সুতরাং দুটি হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ’

প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সবাই সাংবাদিক এবং প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করার প্রস্তাব প্রেস কাউন্সিলেরই। যারা এ নিয়ে কথা বলছেন তারাও এই সংশোধন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। সংশোধনীতে শুধু প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়িয়ে জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়। ইংল্যান্ডে প্রেস কাউন্সিল কত জরিমানা করবে তার কোনো সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। যত অর্থ সমীচীন তত জরিমানা করতে পারে। আমাদের প্রেস কাউন্সিলকে তার চেয়ে অনেক কম ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো তো নয়ই, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের মতোও নয়, তার চেয়ে অনেক কম সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হওয়ার সুযোগ নেই, এটি মন্ত্রণালয় করেনি। সংবাদপত্র মালিকপক্ষ, সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি সবাই মিলেই এটি করেছে। এটি নিয়ে যেভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে সেটি সমীচীন নয়। ’

“ওয়েজ বোর্ড নিয়ে মামলা আছে, মামলাটা ‘ভেকেট’ করা হলে, আমি মনে করি ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে” জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছি, আপনারা যোগাযোগ রাখবেন, তাহলে এটা দ্রুত হবে। ’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত