ক্রেমলিনের বিবৃতি অনুযায়ী মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘আমি আপনাকে নিয়ে খুব গর্বিত, কারণ আপনি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এলেন, বলতে গেলে তখন থেকেই রাশিয়া বিশ্বে ১ নম্বর দেশ হয়ে উঠেছে। শুধু রাশিয়া নয়, আমরা আপনাকে পুরো বিশ্বের নেতা মনে করি। কারণ, আপনি সমগ্র বিশ্বের স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ ও সংগঠিত করেন।’
অপর দিকে পুতিন বলেন, ‘মিয়ানমার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় আমাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত অংশীদার। ইতিবাচকভাবে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’
মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতা বন্ধুত্বপূর্ণ ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া দুই দেশের বর্তমান সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন মিন অং হ্লাইং। এর এক বছর পর গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এই দুই ঘটনার পর থেকে মিয়ানমার ও রাশিয়া উভয় দেশ কূটনৈতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়েছে। রাশিয়া যেমন মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে। অপর দিকে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমার ও দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে গণ–আন্দোলন শুরু হয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সামরিক জান্তা। দেশটির অর্থনীতিও পঙ্গু হওয়ার পথে। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনাভিযান চালাতে মিয়ানমারের দুই মিত্র রাশিয়া ও চীন সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর হিসাবে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর দমনাভিযানে দেশটিতে ২ হাজার ২০০–এর বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।