বুধবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

যে কারণে আত্মগোপনে জেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ে মানিকগঞ্জ ছাড়া হয়েছেন জেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট কেএম বজলুল হক রিপন। নির্বাচন থেকে সড়ে যেতে চাপ প্রয়োগসহ নানা অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তিনি অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি এবং তার মনোনয়নের প্রস্তাবক ও সমর্থক আত্মগোপনে রয়েছেন।

কেএম বজলুল হক রিপন বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমার প্রতিপক্ষের লোক আমাকে এবং আমার প্রস্তাবক ও সমর্থককে বিভিন্নভাবে হুমকি, ধমকি, চাপ প্রয়োগসহ মারাত্মক প্রাণনাশক প্রতিবন্ধকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাই কাজ শেষে সেখান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার প্রতিপক্ষের কতিপয় ব্যক্তিরা আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আমার মনোনয়ন দাখিলের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধমকি, চাপ প্রয়োগ ও গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের কাছ থেকে আমি মোবাইল ফোনে জেনে মানিকগঞ্জ সদর থানা ও সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহিত করি এবং তাদের নিরাপত্তা চাই।

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এখন পর্যন্ত আমি ও আমার প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ প্রাণভয়ে মানিকগঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছি। ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী এসব অভিযোগ এনে, রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয় মূলত পুলিশ সুপার দেখবেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলবো।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, আমি এখনো এসব বিষয় জানি না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন সাংবাদিকদের জানান  বলেন, আমার বা আমার লোকজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তার সবটাই মিথ্যা। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। গত নির্বাচনেও আমার বিরুদ্ধে একাধিক প্রার্থী ছিলেন। আমি তদের পরাজিত করেই বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান  নির্বাচিত হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, এবারও দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। ভোট প্রার্থনা করছি। ভোটাররা আমাকে ভোট দিলে জিতবো। না দিলে হারবো। ফলাফল যা হবে আমি তাই মেনে নিব। আমি কখনো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেই নাই। আমার নাম বলে কেউ কিছু করলে তার দায়িত্ব তিনি নিবেন না বলে জানান।

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বজলুল হক খান রিপন। ৭টি সাধারণ আসনে সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২৩ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন; তারা ২ জনই জমা দিয়েছেন। সাধারণ আসনে ২৮ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে ২৩ জন জমা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত তিনটি আসনে ১৪ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছিলেন। তাদের সবাই জমা দিয়েছেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ও ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন ধার্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, কেএম বজলুল হক রিপন ২০১৬ সালের নির্বাচনে জেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৫০ ভোট। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ৪৭৬ ভোট বিজয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রমজান আলী পেয়েছিলেন ৩৫৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল পেয়েছিলেন ২ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রফিক পেয়েছিলেন ১ ভোট। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন ২ জন।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলাসহ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

সর্বশেষ - আইন-আদালত