যশোরে নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর চালের ড্রাম থেকে সানজিদা জান্নাত (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় আঞ্জুয়ারা বেগম (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সানজিদা মিষ্টি যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বি-পতেঙ্গালী গ্রামের সোহেল রানার মেয়ে। গ্রেফতার আঞ্জুয়ারা প্রতিবেশী রেজাউল ওরফে রেজার স্ত্রী।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শিশু সানজিদা নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহভাজন আঞ্জুয়ারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ তার বাড়ির সিঁড়ির নিচে থাকা চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখার কথা জানান। তার দেওয়া তথ্যে রাত ১১টার পর সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি রূপন কুমার সরকার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আঞ্জুয়ারা জানান, তার স্বামী রেজাউল ওরফে রেজার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সানজিদার মা শরিফা খাতুন জানতেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেকে পাগল বলে গালি দেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এজন্য স্বামীর পরামর্শে তিনি এ হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আঞ্জুয়ারাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।