বৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

দিবাযত্নকেন্দ্রে হামলার পর স্ত্রী-সন্তানকেও হত্যা করে হামলাকারী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ৬, ২০২২ ২:৪৭ অপরাহ্ণ

থাইল্যান্ডে একটি দিবাযত্নকেন্দ্রে বর্বরোচিত হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে পৌঁছেছে। এদিন একঝাঁক নিষ্পাপ শিশুকে হত্যার পর নিজের স্ত্রী-সন্তানকেও হত্যা করেছে হামলাকারী। পরে নিজেও আত্মঘাতী হয়। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নং বুয়া লাম্পুর উথাই সাওয়ান শহরে ঘটেছে মর্মান্তিক এ ঘটনা।

জ্যাকরাপাট উইজিতওয়াইতায়া স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা ফোনে ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২৪ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
রয়্যাল থাই পুলিশের ডেপুটি চিফ সুরাচাতে হাকপার্ন জানিয়েছেন, হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।

জ্যাকরাপাট জানান, হামলাকারী বিদাযত্নকেন্দ্র থেকে পালানোর সময় পথচারীদের ওপরও গুলি চালায়। পরে বাড়ি ফিরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে। শেষে নিজেও আত্মঘাতী হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দিবাযত্নকেন্দ্রে বন্দুক হামলায় নিহতদের মধ্যে মাত্র দুই বছরের শিশুও রয়েছে।

জেলা কর্মকর্তা জিদাপা বুনসোম জানান, দুপুরে খাওয়ার সময় দিবাযত্নকেন্দ্রটিতে হামলা চালানো হয়। তখন সেখানে প্রায় ৩০টি শিশু ছিল।

হামলাকারী প্রথমে চার-পাঁচজন কর্মীর ওপর গুলি চালায়। এদের মধ্যে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক শিক্ষকও ছিলেন। জিদাপা বলেন, প্রথমে সবাই ভেবেছিল আতশবাজির শব্দ।

jagonews24

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দিবাযত্নকেন্দ্রটিতে রক্তের মধ্যে পড়ে থাকা শিশুদের মরদেহগুলো কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলাকারীকে গত বছর পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। একটি মাদক মামলার আসামি তিনি। তার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র পাইসান লুয়েসমবুন থাইপিবিএস টেলিভিশনকে বলেন, ওই ব্যক্তি দিবাযত্নকেন্দ্রে গিয়ে নিজের সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে রেগে যান। সে (শিশুটি) সেখানে ছিল না। এরপর হামলাকারী বাড়ি ফিরে তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হয়।

থাইল্যান্ডে গোলাগুলির ঘটনা বেশ বিরল। ২০২০ সালে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে নাখোন রাতচাসিমা শহরে বন্দুকধারী এক সেনা চার জায়গায় হামলা চালিয়ে অন্তত ২৯ জনকে হত্যা ও ৫৭ জনকে আহত করেছিলেন।

সর্বশেষ - আইন-আদালত