গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী চলা বৃষ্টি একেবারেই কমে গেছে। আগামী কয়েকদিন এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগ ছাড়া প্রায় সারাদেশ ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি, ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়। এছাড়া খুলনায় ১৩, চুয়াডাঙ্গায় ৭, রাজারহাটে ৭, শ্রীমঙ্গলে ১, বদলগাছীতে ১ ও ফেনীতে বৃষ্টি হয়েছে ১ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ্র উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুদিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।