রবিবার , ৩০ অক্টোবর ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সৌদিকে সামরিক সহায়তা কমানোর আলোচনা বাইডেন প্রশাসনে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
সৌদিকে সামরিক সহায়তা কমানোর আলোচনা বাইডেন প্রশাসনে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সৌদি আরবকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ উপেক্ষা করে ওপেক প্লাসের পক্ষ থেকে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রেক্ষাপটে বাইডেন প্রশাসন ক্ষুব্ধ হয়। ওপেক প্লাসের নেতৃত্ব কার্যত সৌদি আরবের হাতে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনবিসি জানিয়েছে, শাস্তির অংশ হিসেবে সৌদির কাছে ওয়াশিংটন পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে পারে। গত আগস্ট মাসে ওয়াশিংটন সৌদি আরবের কাছে ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের ৩০০টি পেট্রিয়ট ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার অনুমোদন দেয়।

ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী প্রায়ই সৌদি আরবের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের জন্য পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের এই চালান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময় যুক্তরাষ্ট্র যদি এই ক্ষেপণাস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেয় তাহলে সৌদি আরবের জন্য বড় রকমের চাপ সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আরও একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। সেটি হচ্ছে আসন্ন আঞ্চলিক সামরিক মহড়া থেকে সৌদি আরবকে বাদ দেওয়া।

তবে মার্কিন দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৌদিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অনেক কিছুই নির্ভর করছে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের শীর্ষ সম্মেলনের ওপর। ওই সম্মেলনে যদি সৌদি আরব তেলের উৎপাদন বাড়াতে রাজি হয় তাহলে রিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না দেশটি।

তবে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম কমানোর মতো শাস্তি নেওয়ার পক্ষে নয় অনেক সামরিক কর্মকর্তা। তারা বলছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে সৌদি আরবে অবস্থানরত সেনা ও মার্কিন নাগরিকরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়বে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব একদম কমে যাবে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত