সোমবার , ৩১ অক্টোবর ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

শান্তিরক্ষীদের আভিযানিক দক্ষতা বাড়াতে অবদান রাখছে আইএপিটিসি

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ৩১, ২০২২ ১:৪৮ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পিসকিপিং ট্রেনিং সেন্টার (আইএপিটিসি) শান্তিরক্ষীদের আভিযানিক দক্ষতা বাড়াতে অবদান রাখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এ আইএপিটিসির ২৬তম বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়ে ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ’।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের তীব্রতা ও জটিলতা নজিরবিহীন রূপ ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এক্ষেত্রে আইএপিটিসি শান্তিরক্ষীদের আভিযানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তৃতীয়বারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করছে। যা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় অঙ্গনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উদাহরণ।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী জনগণের ক্ষমতায়ন ও শান্তি কেন্দ্রিক উন্নয়নের যে মডেল জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করেছিলেন তা আজ সংকটময় নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে।

সেনাপ্রধান বলেন, এ পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির গতি প্রকৃতি মূল্যায়ন ও তা মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের রূপরেখা প্রণয়ন করাই হবে আইএপিটিসির মূল উদ্দেশ্য। আইএপিটিসি শান্তিরক্ষী অপারেশন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সঙ্গে জড়িত নীতিনির্ধারক, গবেষক, শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম।

কানাডার পিয়ারসন পিসকিপিং সেন্টারে ২ জুলাই ১৯৯৫ সালে এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ৯০টি বিভিন্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান, সংস্থা আইএপিটিসিতে অংশগ্রহণ করেছে। আইএপিটিসিতে বর্তমানে ২৬৭টি সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনার পাশাপাশি বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের সামনে বাংলাদেশের ইতিহাস, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

চলতি বছর বার্ষিক সম্মেলনে বিপসট কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান সমাপনী দিনে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

সম্মেলনে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা, সেনাবাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্যরা, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতিসংঘের সামরিক উপদেষ্টা, জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ উপদেষ্টা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডিফেন্স মিলিটারি অ্যাটাশেরা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার প্রধান/প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, আইএপিটিসির সদস্যভুক্ত ৫০টির বেশি দেশগুলো থেকে আগত প্রায় ১৩৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - আইন-আদালত