বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর ২০২২ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ভোটে হেরে আওয়ামী লীগ নেত্রী বললেন, ইভিএমে ভোট চুরি হয়েছে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ৩, ২০২২ ৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বানাজা বেগম নিশি।

বুধবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি দিনের ভোটের চিত্র তুলে ধরেন।

ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে কিন্তু ভোটটা মেশিনের মাধ্যমে চুরি হয়েছে।

৭ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ওই বক্তব্যে কেন্দ্রগুলো থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া, বিলম্বে ভোট শুরু, ভোটারদের ফিঙ্গার নেওয়ার পর পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে দেওয়া, কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানান অভিযোগ তুলে ধরেন।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে তিনি দুই হাজার ৯০০ ভোট পান। ওই পদে ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা মমতাজ। বানাজা বেগম নিশি বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

লাইভে তিনি বলেন, এই নির্বাচনটা এমন একটি নির্বাচন হয়েছে, আপনারা ভালো করে জানেন কেমনে হয়েছে। আমি একটু ক্লিয়ার করার জন্য বলি, আমি প্রথমে সকালে বড়উঠান ইউনিয়নে যাই। তখন আমার এজেন্টদের ঢুকতে (ভোটকেন্দ্রে) দেওয়া হয়নি। তখন সাড়ে ৬টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করি। ফোন করার পরেও আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর আমি ফারুক চৌধুরীকে (চেয়ারম্যান প্রার্থী) ফোন করি। উনি হয়তো উনার দলের কাউকে বলেছেন। একই সঙ্গে আমি আবারও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করি। এরপর আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। ভোট শুরু হয় ৯টার দিকে।
‘বড়উঠানের প্রত্যেকটা কেন্দ্র থেকে সব এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দু-একজন, তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ছিল। পরে আমার এজেন্টদের অনেকটা জোর করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে বসানো হয়েছে। এরপর তারা জনগণ থেকে ফিঙ্গার নিয়ে ভোট তাদের পছন্দের প্রার্থীদের দিয়েছে।’

তিনি বলেন, আমি যেহেতু প্রার্থী, কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার আমার সুযোগ ছিল। আমার একটা খটকা ছিল, প্রত্যেক বুথে ৩৫৩টি করে ভোট ছিল। কিন্তু আমি যখন চরলক্ষ্যাতে যাই, তখন ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র দশটা, দুইটা, জিরো, সতেরটা। এরকম করে ভোট কাস্ট হয়েছে। তখন আমি এজেন্টদের বলি, আপনারা এগুলো দেখবেন, চোরতো এইখানে, এই মেশিন (ইভিএম)। তাদের আমি ওই মুহূর্তে বলে আসছি, এই মেশিনটা চুরি করবে। আপনারা ভোট এখানে দিলে ওখানে পড়বে।

তিনি বলেন, ইভিএমের অনিয়মের বিষয়টি তিনি আগে থেকেই জানতেন। আমি আগে থেকে জেনে গেছি, যেভাবে হোক। আমি জানতাম এটি হয়েছে। তখনতো ওদের সঙ্গে আমি যুদ্ধ করে পারবো না। শেষ পর্যন্ত আমি মাঠে থেকে লড়াই করেছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে, কিন্তু ভোটটা মেশিনের মাধ্যমে চুরি হয়েছে। এটা বাস্তব। ওটা আমি মেনে নিয়েছি। তারপরেও আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। কারণ আমি লড়াই করতে পছন্দ করি।

তিনি বলেন, আমি তিনটার দিকে জুলধার দুয়েকটা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। একটা কেন্দ্রে পাঁচটা বুথ ছিল। একটা বুথে ভোট কাস্ট হয়েছে ছাব্বিশটা, একটা বুথে আটচল্লিশটা, একটা বুথে ভোট কাস্ট হয়েছে ছিয়ান্নব্বইটা। মোট এভাবে ২৯০টা ভোট। কিন্তু এক ঘণ্টার ব্যবধানে কেমনে বারশ ভোট কাস্ট হয়? আমি ওখানেও তাদের বলেছি।

বক্তব্যের শেষে জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দনও জানান তিনি। তিনি বলেন, যারা জিতেছেন, ইভিএমে জিতেছেন, চুরি করে হোক জিতেছেন, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আমার কোনো আফসোস নেই। পরের কথা হলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নৌকা জিতেছে, এজন্য আমি খুশি। আমারটা না হোক, আমার নৌকাতো জিতেছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত