বুধবার , ৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মনোলোভা বুনো ফল বড়কুচ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ৪, ২০২৩ ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

বড়কুচ (Micromelum minutum) ছোট থেকে মাঝারি আকারের বৃক্ষ। সাধারণত ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ছোট শাখা এবং কুঁড়ি ঘনবদ্ধ ও রোমশ। পাতা একান্তর, ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা, পত্রক ৯ থেকে ১৫টি, একান্তর, ডিম্বাকার থেকে বল্লমাকার, শীর্ষ সরু ও আগার দিকে দীর্ঘ।

প্রান্ত অখণ্ডিত থেকে অনিয়মিতভাবে ঢেউখেলানো। ফুলের বিন্যাস গাছের চূড়ায়, ফুল উভলিঙ্গ ও ৫-অংশক। বৃতি পেয়ালার মতো, অগভীরভাবে পাঁচ ভাগে বিভক্ত। আয়তাকার পাপড়িসংখ্যা ৫, বাইরের দিকে ঘনভাবে চাপা, রোমাবৃত, ফিকে সবুজ থেকে হলুদাভ-সাদা।

পুংকেশর ১০টি, পুংদণ্ড ৪ থেকে ৬ মিলিমিটার লম্বা, পরাগধানী উপবৃত্তীয় এবং অস্পষ্টভাবে খাঁজযুক্ত। গর্ভদণ্ড বেলনের মতো ও রোমহীন। ফল উপবৃত্তীয়, আয়তাকার বেরি বা জামের মতো, প্রায় ১৫ মিলিমিটার লম্বা ও ৭ মিলিমিটার চওড়া। পাকলে কমলা বা লালচে রং ধারণ করে। খাদ্যাংশ রসাল, ভেতরে দুই থেকে তিনটি বীজ থাকে। বীজপত্র চ্যাপটা এবং পাকানো। গাছে প্রায় সারা বছরই ফুল ও ফল হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় এ গাছ জন্মে।

দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় প্রায় দেশেই বড়কুচ জন্মে। বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

বড়কুচ ভেষজ গুণে অনন্য। এ গাছের পাতা ও মূল জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মূলের থেঁতলানো বা সেদ্ধ ক্বাথ শিশুদের ডায়রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজে লাগে। দক্ষিণ সুমাত্রায় মূলের টুকরা কাশির জন্য পানের সঙ্গে চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

মালয়েশিয়ায় পাতার চূর্ণ ত্বকের চুলকানির জন্য বাহ্যিকভাবে প্রলেপ দেওয়া হয়। ফিলিপাইনে চারাগাছ তেলের সঙ্গে গরম করে প্রলেপ দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগের চিকিৎসা করা হয়। ইন্দো-চীনে চর্মরোগে পাতার প্রলেপ দেওয়া হয়। ফিজিতে পাতা বা ছোট শাখার বাকল মাথাব্যথা, পাকস্থলীর ব্যথা, কাশি নির্মূল, জিবের ক্ষত, গনোরিয়া চিকিৎসা এবং শিশুদের গলার রোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজে লাগে।

মোকারম হোসেন, প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক

সর্বশেষ - সারাদেশ