এবার প্রতিষ্ঠানটির অত্যন্ত লাভজনক ক্লাউড ও বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে। অ্যামাজনের স্ট্রিমিং ইউনিট টুইচ থেকেও কিছু কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
গত সপ্তাহে টুইচের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে ড্যান ক্ল্যান্সির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে চার শতাধিক কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
এই ৯ হাজার কর্মীর মধ্যে কাদের ছাঁটাই করা হবে, তা আগামী এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত করবে অ্যামাজন।
মেটায় আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই

ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজ বিশ্লেষক মাইকেল প্যাচার বলেন, ভবিষ্যতে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর আগে অবশ্যই আরও সতর্ক হতে হবে।
অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের উদ্দেশ করে একটি নোটে বলেছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে গুরুত্ব বিবেচনা করে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কয়েক মাস আগে যখন ছাঁটাই করা হয়েছিল, তখন কেন একসঙ্গে কাজটি করা হয়নি। এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, সব কটি বিভাগ তাদের কর্মী বিশ্লেষণ শেষ করতে পারেনি। আমরা এখন অনিশ্চিত অর্থনীতির ভেতর আছি, অদূর ভবিষ্যতেও তা বিদ্যমান থাকবে। এ কারণে আমরা ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত সপ্তাহে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে যে পাঁচ হাজার পদ শূন্য রয়েছে, সেসব পদেও এখন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে অ্যামাজন

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে মেটা তাঁদের ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। সে সময় ছাঁটাই হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ১৩ শতাংশ কর্মী। গত ৫ মাসের মধ্যে মেটা ২১ হাজার অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল। গত বছরের শেষ তিন মাসে কোম্পানির আয় আগের বছরের চেয়ে কমে যাওয়ায় কর্মী ছাঁটাই শুরু করে মেটা।