কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রচণ্ড গরম। কিছুটা শীতল বাতাস কেবল দার্জিলিংয়ে। আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, আরও চার দিন চলবে এই গরম। এরপর দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। কাজ ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না শহরে। ছাতায়ও মানছে না রোদের তাপ। হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
গতকাল সোমবার কলকাতার দমদম এলাকার তাপমাত্রা উঠে যায় ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কলকাতাসহ এই রাজ্যের ২৩টি জেলায় তাপমাত্রার দাপট চলে। শুধু গতকালই নয়, কয়েক দিন ধরেই চলছে তাপমাত্রার এই দাপট।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, অন্তত আরও চার দিন থাকবে এই প্রচণ্ড দাবদাহ। তারপর কমে আসবে ধীরে ধীরে। তবে বলা হয়েছে, ২২ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা নামতে পারে। এখন রাজ্যের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে।
গতকাল বর্ধমানের পানাগড়ে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৩ ডিগ্রি। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ৪৩.২, বাঁকুড়ায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এই রাজ্যে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল বাঁকুড়া ও বর্ধমানের পানাগড়ে। যথাক্রমে ৪৩.৭ ও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ছিল মালদহে ৪২.৩, পুরুলিয়া ৪১.৭, বর্ধমান ৪১.৬, দমদম ৪১.৬, বালুরঘাট ৪১, কলকাতার সল্টলেক ৪০.৫ এবং কলকাতা শহর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই প্রচণ্ড গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। বেড়ে গেছে বৈদ্যুতিক পাখা ও এসির দাম। কলকাতার নামীদামি দোকানে এসি কেনার লাইন পড়ে গেছে।
বেড়ে গেছে ডাবের দামও। ৫০-৬০ রুপির নিচে মিলছে না ডাব। বিক্রিও বেড়ে গেছে বিভিন্ন কোম্পানির পানীয়র। কমে গেছে রাস্তায় গাড়িঘোড়ার আনাগোনা। অনেকই বের হচ্ছে না এই তীব্র দাবদাহে।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেখা দিচ্ছে গ্রামের টিনের তৈরি বাড়িতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের। এই প্রচণ্ড রোদে অনেককেই বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বড় গাছের ছায়ার তলে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। নদী–নালা, পুকুর ও খাল–বিলে মানুষের ভিড় বেড়েছে। গ্রামের মানুষজন এসব জায়গার পানিতে নেমে শরীর ভিজিয়ে প্রচণ্ড গরম থেকে নিজেদের রক্ষা করছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি স্কুল–কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করেছে। বাতিল করেছে স্কুলের পরীক্ষা। রাজ্যের বেসরকারি স্কুলকেও এই নির্দেশ মেনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।