মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি যে কোম্পানির শেয়ারধারী নই, আমি যে কোম্পানির লাভ-লসের সঙ্গে নেই, সেখানে আমার নিজের সম্পত্তি দিয়ে আজ আমি আসামি হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী, সেই কোরিয়ান কোম্পানি টাকা দিয়ে দিয়েছে। টাকা পাওয়ার পর সেটি অনলাইনে ঠিক করে দেবে, কিন্তু দেয়নি। তারা কৌশলে চিঠি আটকে রেখেছে।
আপনি কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন আপনার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে?
জাহাঙ্গীর আলম: তারা (প্রতিপক্ষ) আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল আমার প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য। তারা ভুয়া মামলা দেখানোর চেষ্টা করেছে। ভুয়া মামলা দেখিয়ে বলত যে তথ্য আমি দিইনি বা গোপন করেছি। আগে থেকেই বুঝতে পেরে আমার মাকে প্রার্থী করা হয়। আমার মায়ের স্বাক্ষরের ছবিও মানুষ উঠিয়ে নিয়ে এসেছিল। তখন আমি বলেছি, আমারটা বাতিল হয় হোক, কিন্তু আমার মায়ের মনোনয়নপত্র যেন বাতিল না হয়।
জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল, তাঁর মায়েরটি বৈধ ঘোষণা

সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ২৮ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির কেউ কি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন?
জাহাঙ্গীর আলম: কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেন্দ্রীয় কোনো নেতার সঙ্গে নির্বাচন নিয়েও আমার কোনো কথা হয়নি। আমি সব সময় বলে আসছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের অভিভাবক, সরকারের অভিভাবক, রাষ্ট্রের অভিভাবক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলবেন, আমি সেটাই শুনব। কারণ সবাই বলছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু বলতে পারেন না। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাব দিতেও পারেন না। সেই হিসেবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে খুব একটা রেজাল্ট পাওয়া যাবে না। যাঁরা নিজেরা কথা বলতে পারেন না, তাঁরা অন্যের জন্য কী করবেন। কেন্দ্র থেকে ডাকার বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
প্রার্থিতা ফিরে পেলে আপনি নৌকার বিপক্ষে জয়লাভ করতে পারবেন বলে মনে করেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি নৌকার বিপক্ষে নই। আমি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে নই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিপক্ষেও নই। কিন্তু আমি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। যে লোকটি আমার শহরের ক্ষতি করেছে বা শহরের ক্ষতি করবে। সেই লোকের বিরুদ্ধে আমার জনগণ আমার নাগরিকেরা বলছেন আমাকে দাঁড়াতে, সেই হিসেবে আমি দাঁড়িয়েছি। আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। আমি সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে মিথ্যার একটা জয় হয়েছে। সেই মিথ্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি চেষ্টা করছি। আমার মা যেহেতু পাশে আছেন, আমিও মায়ের পাশে আছি।
প্রার্থিতা ফিরে পেলে শেষ পর্যন্ত কি মাঠে থাকবেন নাকি সমঝোতা করবেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি প্রার্থিতা ফিরে পেলেও থাকব, না পেলেও থাকব। এখানে নীতির জায়গায় কোনো সমঝোতা নেই। আদর্শের জায়গায় কোনো সমঝোতা নেই। যদি কোনো ধরনের আলোচনা হয়, তবে সেটার জন্য দরজা খোলা, কিন্তু আমার আদর্শের জায়গা থেকে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি সরে যাচ্ছি না।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি একটা অনুরোধ করি, যাঁরা জাতীয় নেতা আছেন, তাঁরা আমার শ্রদ্ধেয়। আমি তাঁদের একটা কথাই বলব, তাঁরা যেন নেত্রীর সঙ্গে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন। তা না হলে তারা হয়তো কথাগুলো সত্য বলবে না। কথাগুলো ঘুরিয়ে বলবে। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কারও কাছে মিথ্যা কথা শুনতে চাই না।