বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) উদ্দেশে বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই কারচুপি করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব আপনি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেবেন।
নগরীর আমতলা পানির ট্যাংকি এলাকায় সোমবার বিকালে নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেছেন। এর আগে ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে আসলে নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড়ে তাকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বরণ করেন নেতাকর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র এই নায়েবে আমীর বলেন, আমার কেউ শত্রু নয়, আমি নির্বাচিত হলে সুশীল সমাজ-সাংবাদিক বন্ধুদের এক টেবিলে পরামর্শের ভিত্তিতে নগর চালাবার চেষ্টা করবো। বরিশালের উন্নয়নের জন্য বিগত দিনে যারা মেয়র ছিলেন তাদের থেকেও বুদ্ধি-পরামর্শ গ্রহণ করবো। বিগত দিনে যারা মেয়র ছিলেন, যারা সিটি করপোরেশন পরিচালনা করেছেন সেই সমস্ত ভাই আমার পরামর্শের এবং আমার পরিষদের একজন সদস্য থাকবেন। এখানে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কে জাতীয় পার্টি, কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খ্রিস্টান আমি এ ভেদাভেদ করবো না। সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ঐক্য করে উন্নয়ন করবো।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে সব থেকে বড় বাধা ঐক্য। ঐক্য না থাকার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে না। কমপক্ষে আমি বরিশাল সিটিতে সবার ঐক্যের ভিত্তিতে একটি মডেল সৃষ্টি করবো। অন্তত বাংলাদেশের যদি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্য হয়ে দেশের উন্নয়ন করার চেষ্টা করে তাহলে এখন আমরা যা আছি তার থেকে বেশি ডেভেলপমেন্ট করতে পারবো।
ফয়জুল করীম বলেন, মারামারি নয়, কাটাকাটি নয় বন্ধুত্বসুলভ আচরণের ভিত্তিতেই আমরা এ শহরে নির্বাচন করবো। আমরা কেউ কারও প্রতিপক্ষ নই, কেউ কারও শত্রু নই, আমরা সবাই দাবি করি এবং আমরা বলি বরিশালের উন্নয়ন চাই। কাজেই বরিশালের উন্নয়ন চাইলে সেখানে মারামারি-কাটাকাটি থাকবে কেন, হিংসা থাকবে কেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহকারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, বরিশাল মহানগরের সহ-সভাপতি সৈয়দ নাছির আহমদ কাওছার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মৃধা প্রমুখ।
এ নাগরিক সংবর্ধনায় নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।