বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণ হলেও তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে আদালতকে ব্যবহার করে বিচারিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হতো; এখন শুরু হয়েছে সাজা দিয়ে বছরের পর বছর আটক রাখার প্রক্রিয়া। আমরা অন্ধকার বিচার মেনে নেব না। জনগণ এ প্রহসনের বিচার মেনে নিবে না। বিএনপিসহ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের দমন করতেই এ প্রক্রিয়া সরকারের একটি মাস্টার প্লান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আগে কেউ কখনো গায়েবি মামলার কথা শুনেনি। এখন শুনছি লাশের বিরুদ্ধে, পঙ্গু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এবং কেউ হজে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। ২০১৩ সালের মামলায় সাক্ষী তৈরি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল এবং হাবিবুর রশিদ হাবিবকে দিনে জামিন দিয়ে জজ সাহেব ওপরের গায়েবি নির্দেশে রাতেই জামিন বাতিল করেছেন। দেশে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা হচ্ছে। নিম্ন আদালতের বিচারকরা আজ ওপর মহলের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। নিম্ন আদালতের প্রতি আজ মানুষের আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, আব্দুল লতিফ তালুকদার, ওমর ফারুক, রইস উদ্দিন প্রমুখ।