সোমবার , ২৬ জুন ২০২৩ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা, ঈদের পরে আন্দোলন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুন ২৬, ২০২৩ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন কর্মচারী সংগঠনগুলোর নেতারা। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কতটা বৃদ্ধি করা যায় তা বিবেচনা করবেন। কিন্তু রোববার ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণায় আমরা হতাশ হয়েছি। ঈদুল আজহার পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে আন্দোলনে যাব।

বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট একজন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছি। সরকার ৮ বছর পর আমাদের ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে। কিন্তু বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, আট হাজার ২০০ টাকা মূল বেতন যে কর্মচারী চাকরি করেন, তার বেতন বেড়েছে ৫শ টাকা। অথচ গ্যাস ও ঘর ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। ৮ বছর পর বেতন বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বছর এক শতাংশ করে হলেও কম করে ৮ শতাংশ বাড়ার কথা।

তিনি আরও বলেন, যাদের মূল বেতন বেশি, তাদের বেতন আরও বেড়েছে। কিন্তু যাদের মূল বেতন কম তাদের বেতন তো সেই হারে বাড়েনি। সরকারি হিসাবেই যেখানে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ। সেখানে ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কোনো মানে হয় না। আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। ঈদুল আজহার পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বক্তব্য সরকারের কাছে তুলে ধরব। দাবি আদায়ে সক্রিয় হব।

সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি এক ধরনের তামাশা। এতে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকার যদি মুজিববর্ষে কিংবা স্বাধীনতার রজতজয়ন্ত্রী উপলক্ষ্যে কোনো আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করত, সেটি হতো প্রণোদনা।

কিন্তু ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে সরকার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারের জন্য এটা একটা কৌশল মাত্র। এখন সরকার বলবে আমরা কর্মচারীর বেতন ৫ শতাংশ বাড়িয়েছি। কিন্তু আমরা প্রণোদনা চাই না। আমরা বাঁচতে চাই। বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়াতে হবে। আমাদের হাত-পা বাঁধা, প্রতিবাদ করতে পারি না। তারপরও কর্মচারীদের দাবি আদায়ে যে সব সংগঠন কাজ করছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে আলাপ-আলোচনার করে দাবি আদায়ে পদক্ষেপ নেব।

বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জুন ক্লোজিং এবং ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আমরা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারিনি। ঈদুল আজহার পর কালেক্টরিয়েট কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি এবং বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনার কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতি মিটিং করে সরকারের কাছে যৌথভাবে দাবি পেশ করব। এরপর দাবি আদায়ে সচেষ্ট হব।

এদিকে ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ৮০ ভাগ কর্মচারী নিম্ন শ্রেণির। তারা মারাত্বক আর্থিক ঝুঁকিতে রয়েছে। ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুবিধা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

 

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কারাতে প্রতিযোগিতা দুই সোনা এক রৌপ্য জিতেছেন কুমিল্লার ৩ খেলোয়াড়

কভিডের স্নায়বিক প্রভাব নিয়ে ইউরোপে গবেষণার উদ্যোগ

গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির জন্য ২৩১৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিলেটে বিএনপির সমাবেশের মাঠেই চলছে রান্না-খাওয়া

১/১১-এর সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেবো না: নানক

বিএনপির ঢাকার পদযাত্রার আংশিক পথ পরিবর্তন

নির্বাচন কমিশন আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়নি অর্ধেক দল, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়

কলকাতায় মার্টিনেজকে নিয়ে উন্মাদনা, মঞ্চে তারকাদের হুড়োহুড়ি

ফরচুন বরিশালকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে রংপুর রাইডার্স

সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা রক্ষায় ব্যানার, ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ