টানা বড় দরপতনের মধ্যে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৬৮ পয়েন্ট পড়ে গেছে। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে একশ কোটি টাকার কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্য সূচক।
এর আগে বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিলে মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক একশ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় নামমাত্র উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। এরপর বুধবার আবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৭ পয়েন্ট পড়ে যায়। লেনদেনের সময় যত গড়াচ্ছে পতনের মাত্র তত বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ১৪ মিনিটে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৬টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টির।