বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট ২০২২ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা মাঝিকে খুনের ঘটনায় মামলা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ১১, ২০২২ ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালির জামতলী আশ্রয় শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) রাত ১টার দিকে উখিয়া থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত মাঝি আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুন (৩০)। এতে ৫ জনকে এজাহার নামীয় ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় তিনজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন, সাহ মিয়া (৩২), মো. সোয়াইব (১৯) ও জাফর আলম (৫৪)।

এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন, জাফর আলমের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭), মৃত সোনা আলীর ছেলে সাহ মিয়া (৩২) ও তার ভাই আবুল কালাম ওরফে জাহিদ আলম (২৫), মৃত রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪) ও তার ছেলে মো.সোয়াইব। এরা সবাই জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন।

ওসি বলেন, জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫ এর সি ব্লকের হেড মাঝি (ব্লকের নেতা) আবু তালেব (৫০) এবং সাবমাঝি সৈয়দ হোসেন (৪৩) নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদীর দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে (যার নম্বর ৫৩)।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আবু তালেব জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক সি এর মাঝি এবং সৈয়দ হোসেন সাব মাঝি। ৯ আগস্ট রাতে তারা প্রতিদিনের মতো কাজকর্ম শেষে ব্লক-সি/৯ এর আছিয়া খাতুনের ঘরের সামনে বাঁশের মাচায় বসে আলোচনা করছিলেন। সেসময় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এজাহার নামীয় আসামিসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারী মুখে গামছা বেঁধে তাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। এতে আবু তালেবের গলায় ২টি এবং বুকের পাজরে ১টি ও সাব-মাঝি সৈয়দ হোসেনের গলায় ১টি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়।

পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ডাবল মার্ডারের সঙ্গে আবুল কাশেমের ছেলে সাব-মাঝি রেজাউল আলম (৪২), জাফর হোসেনের ছেলে সাব মাঝি মো. ইয়াছিন এবং ইসমাঈলের ছেলে (ভলেন্টিয়ার) নুর মোহাম্মদ (৩২) জড়িত রয়েছে বলে বাদীর সন্দেহ রয়েছে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরান হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

 

 

সর্বশেষ - দেশজুড়ে