বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিটি মানুষই চিকিৎসায় ভালো হয়। তাদের কটাক্ষ করে পাগল বলা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সুস্থ থাকতে হবে, স্বস্তিতে থাকতে হবে। মানসিকভাবে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। মানসিক রোগের বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘সবার মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। বিএসএমএমইউ’র বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিক সংখ্যক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য এ বিষয়ে উচ্চতর কোর্সে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা বাড়াতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর বিএসএমএমইউ’র গবেষণা দিবস উদযাপিত হবে। সেখানে ভালো গবেষণা কার্যক্রমকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও পুরস্কৃত করা হবে। রোবটিক সার্জারি, জিন থেরাপি চালুসহ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই করা হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউ সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ, অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব প্রমুখ।