ঘূর্ণিঝড় মানদৌসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি ও নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছে এসে নিরাপদ স্থানে চলাচল করার বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের দক্ষিণ উপকূলের দিকে খুব দ্রুত এগোচ্ছে। এটি বাংলাদেশের দিকে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর প্রভাবও বাংলাদেশে তেমন পড়বে না বলে মনে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চল এবং অন্যান্য স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে। কুয়াশা ও শীতের দাপটও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মানদৌসের প্রভাবে বাংলাদেশে ঝোড়ো হাওয়া বা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও নেই। দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোয় বড়জোর আকাশ মেঘলা হতে পারে। কারণ, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার বন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আর এটি দ্রুত ভারতের দক্ষিণ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। কাল শুক্রবার সকালের মধ্যে তা ভারতের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে ভারতের দক্ষিণ উপকূলের রাজ্যগুলোয় ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়টি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।