সোমবার , ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

খুলনায় হত্যা মামলার ১৩ বছর পর একজনের যাবজ্জীবন, আটজন খালাস

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ২৭, ২০২৩ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

সাজা পাওয়া ওই আসামির নাম রনি চৌধুরী ওরফে গ্রেনেড বাবু। তাঁর বাড়ি খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি আর কখনো খুলনার আদালতে হাজির হননি। রায়ে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে খুলনা নগরের শামসুর রহমান সড়কে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২৯ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর হোসেনকে। পরদিন তাঁর বাবা ইলিয়াস হোসেন খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, মামলায় আসামি করা হয় ছয়জনকে।
এর মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া রনি চৌধুরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দি অনুযায়ী, খুনের ঘটনা ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনের নাম বেরিয়ে আসে। মোট নয়জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর। পরে ২০১৩ সালে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর গত অক্টোবর পর্যন্ত মামলাটির ৬১ বার তারিখ পরিবর্তন হয়। কিন্তু বাদীসহ কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছিলেন না।
গত ১৭ জানুয়ারি প্রথম আলোর পাঁচ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরেও মামলার সুরাহা হয় না’ শিরোনামে খুলনার আদালতের বিভিন্ন সমস্যা ও বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে জাহাঙ্গীর হোসেন হত্যা মামলার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনটি উচ্চ আদালতের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর সাক্ষীদের আদালতে হাজির করে দুই মাসের মধ্যেই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ওই মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে গত দুই মাসে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁরা খালাস পেয়েছেন।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে

আপনার জন্য নির্বাচিত