শনিবার , ২২ এপ্রিল ২০২৩ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

কৃষিপণ্য নিয়ে ইউক্রেনের ওপর বেজার কেন ইউরোপের দেশগুলো

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ২২, ২০২৩ ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার হামলার মুখে অস্ত্র সরবরাহ, আর্থিক সহায়তা ও শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশগুলো এতকাল ইউক্রেনের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়ে এসেছে। তবে যুদ্ধের এক বছরের বেশি সময় পর এসে একটি বিষয় নিয়ে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে; তা হলো কৃষিপণ্য।

যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর উপকূলে ইউক্রেনের বন্দরগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর বন্দর ব্যবহার করে খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে বাধ্য হচ্ছে কিয়েভ। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সস্তায় ইউক্রেন থেকে কৃষিপণ্য আসায় উল্টো ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইউরোপের চাষিরা। তাঁদের পক্ষে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানিতে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নিষেধাজ্ঞা

ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানিতে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নিষেধাজ্ঞা

এর ফলে ইউক্রেনের কৃষিপণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে পোল্যান্ড। সেই পোল্যান্ড গত সপ্তাহে ইউক্রেনের শস্য আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া। ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে এ বিষয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার মাঠে নামছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেনসংলগ্ন পাঁচটি ইইউ সদস্যদেশের চাষিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ জোটটি ১০ কোটি ইউরো দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানির ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ সীমা স্থির করার পরিকল্পনা করছে ইইউ।

গত মার্চের শেষে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ার পক্ষ থেকে যৌথ অভিযোগের পর ইইউ জরুরি ভিত্তিতে ‘প্রতিরোধমূলক’ পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এর আওতায় ইউক্রেন থেকে গম, ভুট্টা, সূর্যমুখীর বীজ আমদানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ চালু হবে। শুধু ইইউভুক্ত কোনো দেশ কিংবা বাকি বিশ্বে রপ্তানির জন্য ইউক্রেন এ পাঁচ দেশে শস্য পাঠাতে পারবে। তবে সরাসরি এসব দেশে রপ্তানি করতে পারবে না। আগামী জুনের শেষ পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে। অন্যান্য খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও এমন পদক্ষেপের প্রয়োজন খতিয়ে দেখা হবে।

এবার ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানিতে স্লোভাকিয়ার নিষেধাজ্ঞা

পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির পর এবার প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়াও ইউক্রেনের কাছ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি বন্ধের কথা জানিয়েছে

২০১৬ সালে ইইউ ও ইউক্রেনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় বেশ কিছু কৃষিপণ্যের ওপর শুল্ক ও কোটা ব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু রাশিয়ার হামলার পর ইইউ ২০২৩ সালের জুন মাস একতরফাভাবে পর্যন্ত সেই বাধা দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই ব্যবস্থার মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইইউ। এর আওতায় ইউক্রেন ২ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো মূল্যের খাদ্যশস্য বিক্রি করতে পেরেছে। এর মাঝেই ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন করে নিয়ন্ত্রণ চালু করতে হচ্ছে।

পোল্যান্ডে চলতি বছর সংসদ নির্বাচনের কারণে সরকার চাষিদের ক্ষোভ এড়ানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে ইউক্রেন থেকে ২ হাজার ৮০০ টন গম আমদানি করা হয়েছিল। ২০২২ সালে সেই মাত্রা পাঁচ লাখ টন ছুঁয়েছে। ভুট্টার ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ আরও অনেক বেশি। হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও বুলগেরিয়াও সেই কারণে ইউক্রেন থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে একতরফা নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে। শুধু রোমানিয়া এখনো ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে কোনো বাড়তি পদক্ষেপ নেয়নি।

এ বিষয়ে গত বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইউক্রেন ও দেশটির সীমান্তসংলগ্ন পাঁচটি ইইউভুক্ত দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সংকট নিরসনে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও এই আলোচনার ফলাফল এখনো জানা যায়নি।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে