গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছেন রুশ সেনারা। তবে এক বছর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
এ অবস্থায় ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের কোনো কোনো দেশ। এ হুশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটোর সাবেক প্রধান আন্দ্রেস রাসমুসেন।
তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে যদি ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেওয়া হয়, তা হলে জোটের কোনো কোনো দেশ এ পদক্ষেপ নেবে বলে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
রাসমুসেন বলেন, ন্যাটো জোটভুক্ত যেসব দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে, তাদের নেতৃত্ব দিতে পারে পোল্যান্ড। রাসমুসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী মাসে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে, এর আগে জোটের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং, অস্ত্র হস্তান্তর এবং যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণসহ কিয়েভকে লিখিত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
রাসমুসেন জোর দিয়ে বলেন, যদি ন্যাটো জোট সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের পথ বেছে নিতে রাজি না হয়, তা হলে কোনো কোনো দেশ পৃথকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে- এমন জোরদার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে রাসমুসেন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপ এবং আমেরিকা সফর করেছেন। তিনি বলেন, যদি ইউক্রেন অনুরোধ করে তা হলে সেখানে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা আইনগতভাবে বৈধ হবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে