বগুড়ার ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হাই খোকন ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।
গত শনিবার দুপুরে চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিপুলসংখ্যক জনগণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাই খোকন বলেন, তিনি বা তার স্ত্রী কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেননি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এসব কর্মসূচি পালন ও মামলা করিয়েছেন।
গত শনিবার দুপুরে ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- শিপন মিয়া, মোখলেছার রহমান, সিরাজ উদ্দিন, বুলবুল আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান খোকন ও তার স্ত্রী চিকাশি আন্ত:নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আঞ্জুয়ারা চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকরি বা টাকা ফেরত না দেওয়ায় অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছেন। আদালতে এ দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হাই খোকন বলেন, তিনি বা তার স্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে কারো কাছে টাকা নেননি। চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আপেল বাদশা নিজের দোষ ঢাকতে নাটক সাজিয়েছেন। তিনি এলাকার লোকজন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেপ বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারার বিরুদ্ধে মামলা ও মানববন্ধনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চেয়ারম্যান দম্পতি চাকরি দেওয়ার নামে যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন, তারাই এসব করেছেন।